কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী বড় পাড়া তিন নাম্বার ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীসহ একই পরিবারের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। মাথায় মারাত্মক জখম ও হাতের দুটি অংশে হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই ছাত্রীকে বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।.
আহতরা হলেন আব্দুর শুক্কুরের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৮)। ছেলে মোঃ তানজিদ (১৬)এবং মেয়ে সুমাইয়া জান্নাত নাজমা (১৮)। জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত জান্নাতুল ফেরদৌস। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৭ ঘটিকার সময় আব্দুর শুক্কুরের বাড়ির সামনে পুত্র মোঃ তানজিদ বের হন। এসময় নূর আহাম্মদের ছেলে মো.আব্দুর রশিদ তানজিদ কে ব্যাপক গালিগালাজ এবং মারধর করেন।.
এরপর তামজীদ বাড়িতে চলে গেলে আব্দুর রশিদসহ তার স্ত্রী রেশমি সুলতানা তিশা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে, ধারালো দা এবং লাঠি দিয়ে আব্দুর শুক্কুরের পরিবারের উপর হামলা করেন। একপর্যায়ে আব্দুর শুক্কুরের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মারাত্নক আহত হন এবং ঘটনাস্হলেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পেরন করে দেন।.
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করার পর সুমাইয়া জান্নাত নাজমার মাথায় এবং হাতে দুটি অংশে হাড় ভাঙ্গা জখম ধরা পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারিরা মামলা না করার জন্য, আব্দুর শুক্কুর তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। আব্দুর শুক্কুর আরো জানান, আসামিরা বার বার তাদের বসতবাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিত। কিন্তু অসহায় হতদরিদ্র দিনমজুর আব্দুর শুক্কুরের মাথা গুজার বিকল্প কোন জায়গা না থাকায় নিজের বসতভিটা ছেড়ে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। .
এদিকে আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী রেশমিন সুলতানা টিশা এই ঘটনায় ২জনকে অভিযুক্ত করে শুক্রবার রামু থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।এই বিষয়ে রামু থানার ওসি তদন্ত বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় ঘটনাটি ঘটেছে এব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।.
ডে-নাইট-নিউজ / ইমরান উদ্দীন স্টাফ রিপোর্টা
আপনার মতামত লিখুন: